প্রোডাক্টিভ হতে চান, কিন্তু শুরু করতেই ভয় লাগে?

ভয়, পেছনে টানা একটা অদৃশ্য হাত।
যেটা আপনাকে বলে — “এত কিছু আছে, কিছুই ঠিকভাবে হবে না।”
এই ভয়টা সবচেয়ে বেশি আসে তখন, যখন আপনি নতুন করে জীবনকে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

চট্টগ্রামের মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী — নাম ধরুন মীম।
MBBS ৩য় বর্ষে পড়েন। সকাল থেকে নোট, ক্লাস, পরীক্ষা আর হাসপাতালের ব্যস্ততা।
তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন:
👉 “এবার থেকে আমি প্রতিদিন প্ল্যান করে চলবো। সময়কে গুরুত্ব দেবো।”

প্রথমদিন সকালে একটা খাতা নিলেন, টাইম ব্লক করে করলেন প্ল্যান।
তালিকায় লিখলেন:

  • ৭টা-৮টা: ব্রেকফাস্ট + নামাজ
  • ৮টা-১টা: ক্লাস
  • ২টা-৪টা: লাইব্রেরি রিভিশন
  • ৫টা-৬টা: হাঁটা, রিফ্রেশ
  • ৬টা-৯টা: স্টাডি
  • ৯টা-১০টা: ডিনার + পরিবার
  • ১০টা-১১টা: একঘন্টা নিজে সময়, বই পড়া, রিফ্লেকশন

কিন্তু বিকেল ৫টার সময়ই সব এলোমেলো হয়ে গেল।
হাসপাতাল থেকে ফিরতে দেরি, মাথা ব্যথা, সময় গুলিয়ে গেল।
তিনি হাল ছেড়ে দিলেন।
মনে হলো — “আমার দ্বারা হবে না।”
এই জায়গাটা থেকেই আজকের কথা শুরু করা যাক।


১. ভয়টা আসলে কোথা থেকে আসে?

আমরা ভয় পাই “শুরু করতে”, কারণ আমাদের মনে হয়—
👉 “সব ঠিকঠাক না হলে শুরু করার মানে হয় না।”
👉 “শুরু করলাম, আবার যদি পারি না?”
👉 “দিনের মাঝামাঝি সময় নষ্ট হলে সব প্ল্যানই শেষ!”

এই ভয়গুলো আসলে একটা “পারফেকশন ফেটিশ” থেকে আসে।
যেন প্রোডাক্টিভ হতে হলে, একেবারে ফLAWless হতে হবে!
কিন্তু জীবন তারচেয়েও বেশি এলোমেলো।


২. “নতুন কিছু শুরু” মানেই চাপ নয়

প্রোডাক্টিভ হতে চাওয়া মানেই যে
এক রাতেই “ফোকাস মেশিন” হয়ে যেতে হবে, এমন না।
বরং ছোট ছোট সফলতা দিয়ে শুরু করলে ভয় কমে।

যেমন—
✅ শুধু আজকের Top ৩ কাজ লিখুন
✅ সকাল-বিকেলের বড় টাইম ব্লক করুন
✅ রাতের রিফ্লেকশনে শুধু ১ লাইনের ফিডব্যাক লিখুন

ধাপে ধাপে আপনার ব্রেইন বুঝতে শুরু করে—
“এই সিস্টেমটা আমার জন্য কাজ করছে।”


৩. শুরু না করার পেছনে “ইমোশনাল রিজিস্ট্যান্স”

এই ভয়টা শুধু লজিক না, অনেকটা “মানসিক বাধা”।
যেটা আপনি ফিল করেন যখন আপনি বলেন,
“কাল থেকে শুরু করবো…”
“এখন মুড না…”
“আগে একটু রিল্যাক্স, তারপর…”

এই মানসিক বাধা কাটাতে সাহায্য করে external structure
যেটা আপনি নিজে লিখে রাখেন — চোখের সামনে রাখেন।
সেটাই হতে পারে Spark Daily Planner-এর মতো একটা রুটিন সিস্টেম।


৪. Spark Daily Planner কিভাবে এই ভয় কাটায়?

Spark Daily Planner এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে,
যাতে আপনার প্রতিদিনের পরিকল্পনা সহজ, স্পষ্ট আর মানসিকভাবে হালকা মনে হয়।

📘 আপনি প্ল্যান শুরু করেন এইভাবে:

  • আজকের Top ৩ Priority
  • সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত Time Block
  • ডেইলি টু-ডু
  • হ্যাবিট ট্র্যাকার
  • রিফ্লেকশন সেকশন

এইভাবে আপনি প্রতিদিন শুধু ৫ মিনিট প্ল্যানিং করলেই—
👉 ভয়টা কমে,
👉 মাথা পরিষ্কার থাকে,
👉 কাজগুলো হালকা লাগে।


৫. অভ্যাস না হলে কী করবেন?

প্রথম ৭ দিন শুধু এই তিনটা কাজ করুন:

  1. সকালে ৩টা কাজ লিখুন — যেটা করতেই হবে
  2. দিনে অন্তত ১টা কাজের সময় ঠিক করে রাখুন
  3. রাতে ১ লাইন লিখুন — “আজকে আমার দিন কেমন গেল?”

এটাই সিস্টেম।
এটাই শুরু।
এটাই প্রোডাক্টিভিটির পথ।


ভয় কাটানোর পথ: ছোট, কিন্তু ধারালো পদক্ষেপ

ভয় থাকবে।
বিশ্বাস করুন— সফল মানুষেরাও ভয় পায়।
কিন্তু তারা ভয় পেয়েও শুরু করে।
তাদের হাতেও থাকে একটা গাইডলাইন।
আপনার Spark Daily Planner সেটাই হতে পারে।


এখন প্রশ্ন: আপনি কি ভয় পেয়ে থেমে থাকবেন?

নাকি ছোট করে, আজ থেকেই শুরু করবেন আপনার নতুন অধ্যায়?

✅ আপনাকে কেউ বলবে না “পারফেক্ট হতে হবে”
✅ শুধু বলবে— “আজকের ৩টা জিনিস শেষ করো”

এভাবেই দিন বদলায়।


🛒 শুরু করতে চান?

📘 Spark Daily Planner এখনই অর্ডার করুন:
👉 https://planner.elevenspark.com
📞 কল করুন: 019-26218810
📩 ইনবক্স: @SparkDailyPlanner


Want more posts like this?
Follow @SparkDailyPlanner — কারণ এখানে শুধু Product না, Mindset ও Habit গড়ে তুলি।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *